Nursing Admission

 

 

ডিপ্লোমা নার্সিং এর যোগ্যতা কি?

উত্তর: ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি  যে কোন বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বমােট নূন্যতম জিপিএ (G PA) ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ২.৫০ এর কম গ্রহণযােগ্য হবে না।ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থী আবেদন করতে পারবে।

বিএসসি নার্সিং এর যোগ্যতা কি?

উত্তর: ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং (বিএসসি ইন নার্সিং) – বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় সর্বমােট নূন্যতম জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে।

তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ (G PA) ৩.০০ এর কম গ্রহণযােগ্য হবে না। এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে নূন্যতম জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।

ছেলেরা কি নার্সিং পড়তে পারে?

উত্তর: হ্যা, ছেলেরা নার্সিং পড়তে পারে। ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তির জন্য পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট আসনের ২০ শতাংশ ভর্তিযোগ্য হইবে। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থী আবেদন করতে পারবে।
নার্সিং এ ক্যারিয়ার কেমন হবে?
উত্তর: আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় যোগ্য নার্সের সংখ্যা এখনো কম। কারণ অধিকাংশ মেধাবী মেয়েরা নার্সিং পড়ার যোগ্যতা থাকা সত্যেও শুধুমাত্র সঠিক ধারণার অভাবে মহৎ এ পেশায় আসতে পারছে না। তাই আমরা আশা করছি এই লেখার মাধ্যমে আপনি নার্সিংয়ে পড়ার যাবতীয় তথ্য জেনে গেছেন।

দেশে এখন প্রায় সব জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেই সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। এর ফলে ক্রমাগত বেড়ে চলছে হাসপাতালের সংখ্যা। আর এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছরই প্রচুর সংখ্যক নার্সের প্রয়োজন হয়। তাই চাইলে এ পেশায় আসতে পারেন আপনিও।
তবে শুধু দেশেই নয়, বর্হিবিশ্বে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিশ্বের বেশকিছু উন্নত দেশে বাংলাদেশের পেশাদার নার্সরা সুনামের সাথে কাজ করছেন। তাই মানব সেবাধর্মী এ পেশায় যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আপনিও অর্জন করতে পারেন সামাজিক মর্যাদা ও ভালো আয়ের সুযোগ।

নার্সদের কর্মক্ষেত্র কোথায়?
উত্তর: সরকারী-বেসরকারী উভয় সেক্টরে নার্সদের কর্মক্ষেত্র প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। তবে সরকারী নার্সদের কাজের ক্ষেত্র কিছুটা বিস্তৃত। সরকারী নার্সরা সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং আইনশৃঙ্খলা ও সামরিক বাহিনীর চিকিৎসা বিভাগে দায়িত্ব পেয়ে থাকেন।পাশাপাশি দেশের জরুরী প্রয়োজনে আকষ্মিক কোন দুর্যোগ মোকাবিলায়ও সরকারী নার্সদের দায়িত্ব দেয়া হয়।

অপরদিকে বেসরকারী নার্সরা সাধারণত বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং ব্যক্তিগত ক্লিনিকে কাজ করে থাকেন। তবে নার্সদের কাজেরও বেশকিছু পদ রয়েছে। কাজের ক্ষেত্র ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আপনি অ্যাসিস্ট্যান্ট নার্স, স্টাফ নার্স, ওটি সিস্টার বা নার্সিং সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
আবার অনেকে নার্সিং কলেজে ইন্সট্রাক্টর বা ডেমোনস্ট্রেটর ইনচার্জ হিসেবেও নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া ভালো দক্ষতা থাকলে নার্সিং অধিদপ্তরে প্রজেক্ট অফিসার বা সহকারী পরিচালক পদেও কাজ করতে পারেন
একজন নার্সের মাসিক আয় কেমন?
উত্তর: নার্স হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরুতে আপনি অ্যাসিস্ট্যান্ট নার্স বা ওটি সিস্টার হিসেবে সরকারি হাসপাতালে যোগ দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরকারি বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সম্ভাব্য গড় বেতন ৮,০০০ টাকা – ১৬,৫৪০ টাকা মাসিক বেতন পাবেন। অপরদিকে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সাধারণত ১৪,০০০ টাকা থেকে বেতন নার্সদের বেতন শুরু হয়। তবে প্রতিষ্ঠানভেদে এর পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।

 

ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং
  • বাংলা – ২০
  • ইংরেজী – ২০
  • গণিত – ১০
  • সাধারন বিজ্ঞান – ২৫
  • সাধারন জ্ঞান – ২৫

বিএসসি ইন নার্সিং

  • বাংলা- ২০
  • ইংরেজী – ২০
  • গনিত – ১০
  • বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান)- ৩০
  • সাধারন জ্ঞান – ২০

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ভর্তির সময় এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদ, ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি (ছবিতে প্রার্থীর নাম লেখা থাকবে), জেলা কোটা দাবির ক্ষেত্রে স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার বা কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত মূল প্রত্যয়নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home
× Help